ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধান বাধা ট্রাফিক জ্যাম -মালয়েশীয় পর্যটক দল

coxsকক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হওয়াকেই প্রধান বাধা বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার পর্যটকেরা। এ কারণেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের গর্বিত মালিক হওয়ার পরও কক্সবাজারে বা বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। তাদের মতে, পর্যটকেরা সৌন্দর্য্য প্রিয়। তারা জঞ্জালমুক্ত পরিবেশ ভালবাসে। কিন্তু রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যাম দেখা দিলে তাদের মাঝে বিরক্তির উদ্রেক হয়। বেড়ানোর ‘মুড’ নষ্ট হয়ে যায়।

কক্সবাজার সফরকারী মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফিশারিজ এন্ড একোয়া কালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফজলুল হিসাম বিন আবদুল আজিজের মতে, কক্সবাজারের মানুষের অতিথি পরায়ণতা ও এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই পর্যটন শিল্পকে এতটুকু নিয়ে এসেছে। কিন্তু শহরের সংকীর্ণ রাস্তা ও যত্রতত্র পার্কিং এর কারণে সৃষ্ট ট্রাফিক জ্যাম এখানকার পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি পর্যটন শিল্পবিরোধী ট্রাফিক জ্যামকে যেকোন মূল্যে রোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার রাস্তাঘাট বা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। পর্যটকদের জন্য পরিকল্পিতভাবে তৈরী করা হয়েছে হাইওয়ে ও পার্ক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ মালয়েশিয়াকে অনুসরণ করতে পারে। তিনি কক্সবাজার সমুদ্র তীরবর্তী মেরিন ড্রাইভকে আরো উন্নত করে এ সড়ককে ঘিরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় বলে মন্তব্য করেন।

তেরেঙ্গানো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাযওয়ান আফিক বিন মোহাম্মদ আজরি, চে আজারুল জামান বিন চে জোহান, ইয়াং শায়াৎ লিন বলেন, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর। সমুদ্র সৈকত, পাহাড় অত্যন্ত চমৎকার। কিন্তু সে অনুযায়ী রাস্তাঘাটের অভাব।

. হিসাম বলেন, একদল শিক্ষার্থী নিয়ে আমি গত ১১ জুলাই দশ দিনের জন্য কক্সবাজারে আসি। মূলত গবেষণার কাজে আসা হলেও কাজের ফাঁকে আমরা কক্সবাজার, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী সমুদ্র সৈকতসহ শহর ও শহরতলীর পর্যটন স্পটসমূহ ভ্রমণ করেছি।

আমরা এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু রাস্তাঘাটের অবস্থা, বিশেষ করে ট্রাফিক জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হওয়াকে আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

পাঠকের মতামত: